জীবনী

শহীদ মীর কাসেম আলী

৩১ ডিসেম্বর ১৯৫২ – ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জননেতা মীর কাসেম আলী মিন্টু ক্ষণজন্মা একজন প্রতিভাবান উজ্জল নক্ষত্র হিসেবে পরিচিত। যিনি এদেশের ছাত্র জনতার প্রিয় কাফেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্রতিষ্ঠাতা কেন্দ্রীয় সভাপতি, প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, সংগঠক, শিল্প উদ্যোক্তা, সাংস্কৃতিক সংগঠন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা, জনকল্যাণ ও সমাজকল্যাণ মূলক অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবেই সকলের নিকট পরিচিত ও সমাদৃত। আমরা হাদিস থেকে জানি ৭ শ্রেণির লোকদেরকে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন আরশের ছায়াতলে স্থান দেবেন। এরমধ্যে একশ্রেণির লোক হলো সৎ ব্যবসায়ী। আমাদের দেশে বড় ব্যবসায়ী মানেই লুটেরা। এই লুটেরা সাম্রাজ্যের মধ্যেই সৎ ব্যবসায়ীর নজির স্থাপন করেছেন শহীদ মীর কাসেম আলী রহ.। শহীদ মীর কাসেম আলী যেন আরশের ছায়াতলে স্থান পাওয়া ব্যবসায়ীদের প্রতিচ্ছবি।

শাহাদাত

২০১২ সালের ১৭ জুন তাঁকে কথিত মানবতা বিরোধী মামলায় এরেস্ট করা হয়। এরপর সাজানো ও হাস্যকার বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁকে ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের মাধ্যমে খুন করা হন। তাঁর শাহদাতের কয়েক সপ্তাহ আগে ৯ আগস্ট তাঁর আইনজীবী ও ছেলে ব্যারিস্টার আরমানকে হাসিনা সরকার তুলে নিয়ে যায়। আইনী প্রক্রিয়ায় পরাজিত হাসিনা সরকার বিচারকদের চাপ দিয়ে জোর করে ফাঁসীর করে ব্যবস্থা করে। মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যরিস্টার আরমানকে আজ পর্যন্ত গুম করে রেখেছে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার। ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর শহীদের জানাজায় যাওয়ার সময় ব্যাপক হয়রানি করে মীর কাসেম আলীর পরিবারকে। মানিকগঞ্জের নিজ গ্রামে শহীদ মীর কাসেম আলী শায়িত আছে। মহান রাব্বুল আলামীর তাঁকে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করুন।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রহসন

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার জামায়াত নেতৃত্বকে সাজা দেয়ার আয়োজন সম্পন্ন করে। ১৯৭৩ সালের আইনে সংশোধন এনে দলীয় তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ ও সাজানো সাক্ষী দিয়ে কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই বিচারের জন্য প্রণীত আইন ও বিধিমালা নিয়ে শুরু থেকেই দেশে-বিদেশে বিশেষজ্ঞগণ গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ, আইনজীবীদের বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইট্স ওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও সংস্থা এ নিয়ে আইন সংশোধনের জন্য নানা সুপারিশও দিয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাতই করেনি। সরকার তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার জন্য জাতীয় নেতৃবৃন্দকে একের পর এক হত্যা করেই চলছে। ইতোমধ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল স্বীকার করেছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই বিচার হচ্ছে।

ছবি গ্যালারি

ভিডিও গ্যালারি

স্মৃতিচারণ

শহীদের সাহিত্যকর্ম