১ আগস্ট ১৯৪৪ – ২১ জুলাই ২০২৩
জনাব মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল জামায়াতে ইসলামীর মাধ্যমে প্রত্যক্ষ রাজনীতি শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন ইউনিয়ন, থানা ও জেলা পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৮৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ ও ১৯৯০ সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা জামায়াতের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শূরার সদস্য। তিনি ১৯৮৭ সাল হতে ২০০০ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকার উন্নয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পরে মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামীর পক্ষ হতে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।
২০১৫ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর ২০১৮ সালের ৫ মার্চ তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধি অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০২২ সালের ২৪ মার্চ তাকে ফাঁশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ডের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি জেলখানাতেই ছিলেন। ২০ জুলাই বৃহষ্পতিবার সন্ধা ৬টার দিকে খুলনার আড়াইশ বেড হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার জামায়াত নেতৃত্বকে সাজা দেয়ার আয়োজন সম্পন্ন করে। ১৯৭৩ সালের আইনে সংশোধন এনে দলীয় তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ ও সাজানো সাক্ষী দিয়ে কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই বিচারের জন্য প্রণীত আইন ও বিধিমালা নিয়ে শুরু থেকেই দেশে-বিদেশে বিশেষজ্ঞগণ গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র্যাপ, আইনজীবীদের বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইট্স ওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও সংস্থা এ নিয়ে আইন সংশোধনের জন্য নানা সুপারিশও দিয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাতই করেনি। সরকার তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার জন্য জাতীয় নেতৃবৃন্দকে একের পর এক হত্যা করেই চলছে। ইতোমধ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল স্বীকার করেছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই বিচার হচ্ছে।