জীবনী

শহীদ আবদুল খালেক মন্ডল

১ আগস্ট ১৯৪৪ – ২১ জুলাই ২০২৩

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আল্লামা সাঈদী রহ. বিশ্বখ্যাত একজন ইসলামিক স্কলার ও রাজনীতিবিদ। তিনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন ছিলেন। জালিমদের শত অত্যাচারে তিনি ছিলেন অবিচল। জীবনের শেষ ১৩ টি বছর তিনি বহুকষ্টে কারাগারে কাটিয়েছেন। তবুও জালিমদের কোনো ফাঁদে পা দেননি। জালিমের বশ্যতা স্বীকার করেননি। তিনি একাধারে আলেম, ইসলাম প্রচারক, লেখক, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও সংসদ সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশের শীর্ষ জনপ্রিয় নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর জনপ্রিয়তা ধর্ম, রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্র সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। হাসিনা সরকার তাঁকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে।

শাহাদাত

২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট রবিবার সকালে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রহ.। তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারা কর্তৃপক্ষের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে গাজীপুর থেকে ঢাকায় আসতে সারাদিন ব্যয় হয়ে যায়। ১৩ তারিখ রাত ১০ টার পর তাঁকে পিজি হাসপাতালে আনা হয়।

মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ-রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছেন। প্রায় ৮৪ বছর বয়সী আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর হার্টে পাঁচটি রিং পরানো হয়েছে। এতো সিরিয়াস একজন রোগীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালের পর থেকে শাহদাত পর্যন্ত তাঁকে বাইরের হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো হয়নি। ……

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রহসন

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার জামায়াত নেতৃত্বকে সাজা দেয়ার আয়োজন সম্পন্ন করে। ১৯৭৩ সালের আইনে সংশোধন এনে দলীয় তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ ও সাজানো সাক্ষী দিয়ে কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই বিচারের জন্য প্রণীত আইন ও বিধিমালা নিয়ে শুরু থেকেই দেশে-বিদেশে বিশেষজ্ঞগণ গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ, আইনজীবীদের বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইট্স ওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও সংস্থা এ নিয়ে আইন সংশোধনের জন্য নানা সুপারিশও দিয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাতই করেনি। সরকার তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার জন্য জাতীয় নেতৃবৃন্দকে একের পর এক হত্যা করেই চলছে। ইতোমধ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল স্বীকার করেছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই বিচার হচ্ছে।

No Content Available

ছবি গ্যালারি

No Content Available

ভিডিও গ্যালারি

No Content Available

স্মৃতিচারণ

No Content Available

শহীদের সাহিত্যকর্ম