১৯৮৪ সাল,আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সাইদী রঃ এর তাফসীর মাহফিল। মাদ্রাসার উস্তাদরা সকল ছাত্রদের নিষেধ করলেন তাফসির মাহফিলে যেন কেউ না যায়, গেলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
মাহফিলে যাওয়ার জন্য আমি প্রথম দুই দিন মাদ্রাসায় যাই নাই, তৃতীয় দিন বাহকের মাধ্যমে আমাকে মাদ্রাসায় নেয়া হলো এবং আমার শাস্তি স্বরূপ তৃতীয় দিন দায়িত্ব দেওয়া হলো আমি যেন বাদ আসর চৌমুহনীতে দাড়িয়েঁ পাহারা দেই কোন কোন ছাত্র শহরে যাচ্ছে তা দেখার জন্য। পরের দিন শাস্তি পেতে হবে।
যথা সময়ে আমি চৌমুচনীতে দাড়িয়ে আছি আর ভাবছি কেমনে মাহফিলে যাওয়া যায়। এমন সময় হঠাৎ দেখি যেই উস্তাদ আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি শহরমুখী একটি গাড়িতে উঠছেন। আর যায় কোথায়! আমিও উনার পিছন পিছন পরের গাড়িতে উঠে পড়লাম। গাড়ি থেকে নেমে দেখি একটা মিছিল ক্বিন ব্রিজ দিয়ে মাহফিলে যাচ্ছে, আমিও মিছিলে ঢুকে গেলাম। ব্রিজ পার হবার সময় হুজুর কে ক্রস করলাম।আমার উদ্দেশ্য হুজুর কোথায় যান তা দেখবো।
চৌহাট্রা পয়েন্টে একটু আড়ালে দাড়িয়ে থাকলাম যাতে হুজুর আমাকে না দেখেন।আমার সন্দেহ শতভাগ সঠিক হলো,হুজুর ঠিকই মাহফিলে এসেছেন।
পরের দিন ক্লাসে হুজুর এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন , মিজান বলোতো কালকে কাওকে মাহফিলে যেতে দেখেছো?
আমি বললাম কাউকে যেতে দেখিনাই তবে একজন উস্তাদকে শহরে যেতে দেখেছি! উস্তাদ হতভম্ব!!!
-মিজানুর রহমান