জীবনী

শহীদ অধ্যাপক গোলাম আযম

৭ নভেম্বর ১৯২২ – ২৩ অক্টোবর ২০১৪

কিছু মানুষের জন্মই হয় হিরো হওয়ার জন্য। পাঞ্জেরী হওয়ার জন্য। তাদের দিকে তাকিয়ে মানুষ আগুনে ঝাঁপ দিতেও কার্পন্য করেনা। এদের পুরো জীবনটাই সাক্ষী হয়ে থাকে মানবজাতির জন্য। এরা শহীদ, সাক্ষ্যদাতা। জীবনের প্রতিটি কাজে ইসলামের সাক্ষ্য দেয়াই ওনাদের কাজ। এমন একজন কিংবদন্তি মানুষ অধ্যাপক গোলাম আযম। একের পর এক ষড়যন্ত্রের মুখে ছিলে অবিচল, নিঃসংকোচ, নিরুদ্বিগ্ন। মহান রবের প্রতি অবিচল আস্থায় যেকোন পরিস্থিতে শান্ত থাকার অনুপ্রেরণা তিনি। তিনি এমন এক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে গিয়েছেন যেখানে দুনিয়াবী কোন স্বার্থ পাওয়া যায়না। যে দেশে রাজনীতি একটি লাভজনক ব্যবসা সে দেশে তিনি মানুষকে পকেট থেকে টাকা বের করে সমাজের উপকার করার রাজনীতি শিখিয়েছেন। তিল তিল করে কঠিন সময়গুলো পার করে আজ এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন।

শাহাদাত

নির্ভীক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মজলুম জননেতা অধ্যাপক গোলাম আযম। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই ৫ম বারের মতো কারাগারে গেলেন বর্ষীয়ান জননেতা, ভাষা সৈনিক জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম। এর আগে ভাষা আন্দোলনের জন্য ১৯৫২ ও ১৯৫৫ সালে দুইবার, ১৯৬৪ সালে স্বৈরাচারী আইয়ুবের আমলে একবার, ১৯৯২ সালে নাগরিকত্ব প্রসঙ্গে একবার আর সর্বশেষ গত ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আদেশে কারাবরণ করেন এই নেতা। প্রিজন সেলে থাকা অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় তিনি শাহাদাতবরণ করেন।

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রহসন

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার জামায়াত নেতৃত্বকে সাজা দেয়ার আয়োজন সম্পন্ন করে। ১৯৭৩ সালের আইনে সংশোধন এনে দলীয় তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে মিথ্যা অভিযোগ ও সাজানো সাক্ষী দিয়ে কথিত মানবতাবিরোধী বিচারের রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। এই বিচারের জন্য প্রণীত আইন ও বিধিমালা নিয়ে শুরু থেকেই দেশে-বিদেশে বিশেষজ্ঞগণ গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ, আইনজীবীদের বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইট্স ওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব ও সংস্থা এ নিয়ে আইন সংশোধনের জন্য নানা সুপারিশও দিয়েছে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাতই করেনি। সরকার তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিরতরে শেষ করে দেয়ার জন্য জাতীয় নেতৃবৃন্দকে একের পর এক হত্যা করেই চলছে। ইতোমধ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল স্বীকার করেছেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্তেই বিচার হচ্ছে।

No Content Available

ছবি গ্যালারি

ভিডিও গ্যালারি

স্মৃতিচারণ