যে শুভ্র ,স্বর্গীয় ললাটের পরশ আমার ঠোঁটে যেন লেগেই আছে এবং থাকে যেন আমৃত্যু।”
আমরা প্রথমে জানাজা পড়লাম। প্রশাসনের ক্রমাগত পীড়াপীড়ি ও চাপাচাপির ফলে নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় এক ঘন্টা পূর্বে প্রথম জানাজা শুরু হয়।জানাজা শেষ হলে আল্লামার নূরানী চেহারাটা একনজর দেখার জন্য সবার মত আমিও এগিয়ে গেলাম–প্রচন্ড ভীড় আর ঠেলাঠেলি।ঠেলাঠেলির এক পর্যায়ে একজনের কুনুই আমার কণ্ঠনালী বরাবর এসে লাগলে আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল যেন!এরপর হাতটি সরে গেলে একটু স্বস্তি পাই। তারপর আর এক কদম বাড়িয়ে অনেক কষ্ট করে হুজুরের লাশের গাড়ির ভিতরে ঢুকে যাই।
এরপর আর কয়েক কদম এগিয়ে আল্লামা’র মাথার কাছে গিয়ে বসে আলতোভাবে মাথায় হাত বুলিয়ে কপালে দু’ঠোঁট কয়েক সেকেন্ডের জন্য বসিয়ে রাখি–চুমু দিই। সেই শুভ্র ও স্বর্গীয় ললাটের মায়াবী পরশ আমার ঠোঁটে যেন লেগেই আছে এবং থাকে যেন আমৃত্যু।
আল্লাহ কুরআনের এই পাখিটারে জান্নাতের সর্বোচ্চ সম্মান-মর্যাদা দিয়ে জান্নাতের পাখি হিসেবে কবুল করুন।আমিন🤲।।
– মহিউদ্দিন বিন হাসান